সুবর্ণা হাসিদ: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনের সরঞ্জামাদি। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের জন্য সরঞ্জামাদি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। নগরীর আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদিরের উপস্থিতিতে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেসব সামগ্রী ভোট কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এসময় নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  

নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার।  তিনি জানিয়েছেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন করতে নগরীতে কাজ করছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য। মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবেন।

আজ অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডসহ ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এবার ৪২ সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।

মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

মঈন উদ্দিন: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সিটিতে ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে।

বুধবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। এ সময় তিনি জানান, অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে করা হবে না ভোট অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে বিজিবি র‌্যাব, পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র‌্যাব সদস্য ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, ১ হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার ৬’শ ১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন থাকছে প্রায় ১ হাজার ৭ শ ৩০টি।

১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮টি। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ৪ জন। সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১২ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন। তবে সাধারণ ওয়ার্ডের ১টিতে কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব